(১) তুমি শুধু শরীর নও, তুমি চিরন্তন আত্মা!
বন্ধু, কেবল আয়নার প্রতিচ্ছবিতেই তোমার পরিচয় নেই! ভগবদ গীতা বলে, ‘আত্মা অজন্মা, অবিনাশী!’ এই শরীর ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু তোমার প্রকৃত সত্তা চিরন্তন। তাই বাহ্যিক সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে আত্মাকে ভুলে যেও না! নিজের প্রকৃত শক্তিকে চিনতে শেখো, তাহলেই আসল কনফিডেন্স আসবে!
(২) কোনো কিছুই অকারণে ঘটে না, কর্মের শক্তি অপরিসীম!
তোমার জীবন এখন যেমন চলছে, তা তোমার পূর্বের কাজের (কর্ম) ফল। সনাতন ধর্ম বলে, ‘যেমন কর্ম, তেমন ফল’, তাই এখন থেকেই ভালো কাজ করো, ইতিবাচক শক্তি ছড়িয়ে দাও, কারণ এই শক্তিই তোমার ভবিষ্যৎ তৈরি করবে!
(৩) নারী মানেই দুর্বল নয়, তুমি শক্তির রূপ!
দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী, এই দেবীরা শুধুই পূজিত হওয়ার জন্য নন, তারা তোমার মধ্যেই আছেন! নিজের শক্তি, ক্ষমতা, ও আত্মবিশ্বাসকে জাগাও। তুমি যখন নিজেকে ভালোবাসবে ও নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেবে, তখন কেউ তোমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না!
(৪) শান্তি বাইরে নেই, তোমার মনেই আছে!
সবাই চায় সুখী হতে, কিন্তু সুখ কি বাইরের কোনো জিনিস? না! গীতা বলে, ‘মন শান্ত হলে, জীবন শান্ত হয়!’ তাই বাইরের পরিস্থিতি যাই হোক, তোমার মনের নিয়ন্ত্রণ তোমার হাতেই রাখো! অভ্যাস করো মেডিটেশন, যোগাসন, এবং প্রার্থনা, দেখবে, জীবনের প্রতিটা সমস্যার উত্তর নিজেই খুঁজে পাবে!
(৫) সংসার থেকে পালিয়ে নয়, সংসারেই ধর্ম পালন!
অনেকেই ভাবে, আত্মউন্নতি মানেই সংসার ছেড়ে যোগী হয়ে যাওয়া! কিন্তু গীতা স্পষ্ট বলেছে, সংসারে থেকেও ধর্ম পালন করা সম্ভব! তুমি পড়াশোনা করো, কাজ করো, পরিবার সামলাও, সব কিছুতেই সৎপথ অনুসরণ করাই প্রকৃত ধর্ম!
(৬) তুমি যা বিশ্বাস করবে, সেটাই তোমার বাস্তবতা হবে!
সনাতন ধর্ম বলে, ‘মনই মানুষের প্রকৃত শক্তি!’ তুমি যদি ভাবো, “আমি পারবো না”, তবে কখনোই পারবে না! কিন্তু যদি বলো, “আমি অসাধ্য সাধন করবো!”, তাহলে বাস্তবেই তা সম্ভব! নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, এবং সব বাধাকে শক্তিতে পরিণত করো!
(৭) সবকিছুর মূল শিক্ষা, ভালোবাসা এবং ক্ষমা!
কৃষ্ণ, রাম, বুদ্ধ, সব মহাপুরুষ বলেছেন, প্রেমই জীবনের আসল শিক্ষা! ঘৃণা, রাগ এগুলো কেবল তোমাকেই কষ্ট দেবে, অন্য কাউকে নয়। ক্ষমার শক্তি তোমাকে হালকা করবে, আর ভালোবাসা তোমার জীবনকে আশীর্বাদে ভরিয়ে দেবে!