“তুমি কেবল একজন মেয়ে নও, তুমি একদিন এক জননী হতে পারো, সেই মহাশক্তির রূপ যাঁর মাধ্যমে চলে সৃষ্টির চক্র।”
বন্ধু, কখনো কি ভেবেছো, কেন ‘মা’ শব্দটা শুনলেই একটা অদ্ভুত ভালো লাগা হয়? একটা নিরাপত্তা, একটা শ্রদ্ধা, একটা গর্ব?
সনাতন ধর্ম শুধু ধর্ম নয়, এটা একটা জীবনদর্শন, যেখানে মা-কে শুধু গর্ভধারিণী নয়, বরং পুরো নারীজাতির শ্রেষ্ঠ রূপ হিসেবে দেখা হয়।
আজ আমি তোমাকে বলবো ৭টি এমন কারণ যা তোমার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে
তুমি যদি একজন তরুণী হও, জীবন নিয়ে ভাবছো, নিজের পথ খুঁজছো, এই লেখাটা তোমার জন্য। নিজেকে নতুন করে চেনার জন্য।
১. মা মানেই সৃষ্টি, তুমি নিজেই এক সৃষ্টিশক্তি!
সনাতন মতে, নারী মানেই ‘শক্তি’। মা দুর্গা, মা কালী, মা লক্ষ্মী, সবাই তো ‘মা’। তারা কেবল পূজার প্রতিমা নয়, তারা প্রতীক তোমার মধ্যেকার শক্তির।
তুমি যদি মা হও বা হবো একদিন, তোমার মধ্যে সেই সৃষ্টির জাদু আছে। এটা কি কম কথা?
২. মা মানে আত্মত্যাগ, কিন্তু দুর্বলতা নয়
মা মানে ত্যাগ, ঠিক। কিন্তু সেটার মানে এই না যে মা দুর্বল। মা সেই, যে নিজের সমস্ত কষ্ট চেপে রেখে অন্যকে ভালোবাসে।
তুমি যখন কাউকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করো, তখনই তুমি সেই ‘মাতৃত্ব’ ধারণ করো।
৩. মা মানে ভালোবাসার চরম রূপ
তোমার জীবনে যদি কখনো কেউ নিঃশর্তভাবে ভালোবেসে থাকে, সেটা নিশ্চিতভাবে তোমার মা।
সনাতন ধর্মে এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকেই বলা হয় ‘প্রীতি’ বা ‘ভক্তি’। এক নারী যখন ভালোবাসে, সেটা হয় আকাশের মতো বিশাল।
৪. মা মানে ধৈর্যের প্রতীক
চাইলেই রেগে না যাওয়া, বিপদে শান্ত থাকা, সবকিছুকে হৃদয়ে জায়গা দেওয়া, এই গুণগুলোই সনাতন মতে ‘ক্ষান্তি’ বা ‘ধৈর্য’।
এই গুণ যদি তোমার থাকে, তুমি জানো না, তুমি কতটা শক্তিশালী।
৫. মা মানে পথপ্রদর্শক, তুমি হতে পারো কারো আলো
মা শুধু নিজের সন্তানের গাইড নন, বরং পুরো সমাজের দিকনির্দেশক।
তুমি যদি কারো পাশে দাঁড়াও, কাউকে সঠিক পথ দেখাও, তাহলে তুমি মায়ের মতোই এক দিশারী।
৬. মা মানে ক্ষমা, যা সবকিছুর ঊর্ধ্বে
ক্ষমা করতে পারা মানেই শক্তি।
সনাতনে মা হলো সেই, যে কষ্ট পেয়েও ক্ষমা করতে জানে। এই গুণ যখন তুমি ধারণ করো, তখনই তুমি এক অন্যরকম নারী হয়ে ওঠো।
৭. মা মানে করুণার উৎস, যে বদলে দিতে পারে জীবন
‘করুণা’ বা ‘compassion’ এমন এক জিনিস, যেটা থাকলে তুমি কেবল নিজেকে নয়, পুরো দুনিয়াকে সুন্দর করতে পারো।
তোমার কোমল মন, সহানুভূতি, আর গভীর ভালোবাসা, সবই এই মাতৃত্বের অংশ।
শেষ কথা:
তুমি এখনো হয়তো মা হয়ে ওঠোনি, কিন্তু তোমার ভেতরেই আছে সেই ‘মা’, সৃষ্টিশীল, সাহসী, কোমল আর পরিপূর্ণ এক শক্তি।
সনাতন ধর্ম তোমাকে শেখায়, “মা হওয়া কোনো সামাজিক দায়িত্ব নয়, এটা এক ঈশ্বরীয় রূপ।”
তুমি কি নিজেকে ‘মা’ রূপে কল্পনা করতে পারো?
তুমি কি সেই শক্তিকে অনুভব করো নিজের ভেতরে?
কমেন্টে জানাও, আজকের এই ৭টি গুণের মধ্যে কোনটা তোমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে?
আর যদি এই লেখা তোমার মন ছুঁয়ে যায়, তাহলে শেয়ার করো তোমার সঙ্গিনীদের সাথে, যাঁরা নিজের ভেতরের দেবীটাকে এখনো পুরোপুরি চিনে উঠতে পারেনি।
তুমি বিশেষ, কারণ তুমি নারী। তুমি নারী, কারণ তোমার মধ্যে আছে এক জননী।
তুমি চাইলে, আমি এর পরের পোস্টে “দেবী রূপে নারীর ৯টি অবতার” নিয়েও লিখতে পারি! বললেই শুরু করি