আচ্ছা, সত্যি করে বলো, শেষ কবে তুমি সত্যিকারের প্রশান্তি অনুভব করেছ? সেই স্ক্রলিং, স্ট্রেস আর সোশ্যাল মিডিয়ার ননস্টপ ড্রামার মধ্যে তোমার মনটা যেন হারিয়ে যাচ্ছে? যদি মনে হয় মানসিক প্রশান্তি এক রহস্যময় জিনিস, তাহলে একটু থামো! সনাতন ধর্ম কিন্তু অনেক আগেই এই সমস্যার সমাধান দিয়ে রেখেছে। বিশ্বাস করো বা না করো, এই ৭টি কাজ তোমার জীবন বদলে দিতে পারে! চল শুরু করা যাক!
১. ভগবানের নাম স্মরণ করো – কেবলমাত্র ৫ মিনিট!
এটা কি সিরিয়াসলি কাজ করে? ওহ হ্যাঁ! আমাদের মন সারাদিন এত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে যে শান্তির সুযোগই পায় না। প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট ভগবানের নাম জপ করো, হরেকৃষ্ণ, ওঁ নমঃ শিবায়, বা যেকোনো মন্ত্র। এতে মন স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্ত হয়ে যাবে, কারণ এটি তোমার চিন্তার হাইওয়েতে একটা ব্রেক!
২. আত্মচিন্তা করো – ‘আমি কে?’
তুমি কি শুধুই একটা নাম, একটা পরিচয়, নাকি তার থেকেও বেশি কিছু? বেদ-উপনিষদ বলে, “তুমি আত্মা, দেহ নয়।” যখনই হতাশ লাগবে, একবার ভাবো, “এই ছোটখাটো দুঃখগুলো কি সত্যিই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ? আমি তো চিরস্থায়ী আত্মা!” এই চিন্তাটা তোমার দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেবে একদম ম্যাজিকের মতো!
৩. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো – প্রতিদিন মাত্র ৩টি জিনিসের জন্য ধন্যবাদ দাও!
বসন্তের হাওয়া, মায়ের হাতের রান্না, ভালো বন্ধু, এগুলো কি তুমি প্রতিদিন অনুভব করো? সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে, “যার মন কৃতজ্ঞ, তার জীবন সুখী।” রাতের বেলা ঘুমানোর আগে তিনটি ছোট ছোট জিনিসের জন্য ধন্যবাদ দাও, দেখবে প্রশান্তি আপনা-আপনি আসবে!
৪. সত্সঙ্গ করো – যারা তোমাকে ভালো রাখে, তাদের সঙ্গ দাও!
তুমি কি জানো, তোমার বন্ধুরাই তোমার মানসিক শান্তি কেড়ে নিতে পারে? ভগবদ গীতায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভালো মানুষের সঙ্গ মানেই ভালো জীবন। নেতিবাচক মানুষদের থেকে দূরে থাকো, তাদের গসিপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নাও, আর এমন মানুষদের সঙ্গ দাও যারা তোমার ভেতরের আলো বাড়িয়ে তোলে!
৫. গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে করো – ‘যোগ্যতায় অগ্রাধিকার’ নীতি অনুসরণ করো!
সংস্কৃতে একটা কথা আছে, “ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ”, এর মানে জীবনে যা করছো, তার একটা উদ্দেশ্য থাকা দরকার। জরুরি কাজগুলোর তালিকা করো, কোনটা আগে করতে হবে ঠিক করো, আর সেগুলো একে একে শেষ করো। এতে তোমার জীবনের বিশৃঙ্খলা কমবে, আর মন শান্ত হবে!
৬. প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাও – অন্তত ১৫ মিনিট!
সনাতন ধর্মে প্রকৃতিকে দেবী বলা হয়েছে, ভূমি দেবী, গঙ্গা মা, তুলসী মাতা। তাই প্রযুক্তি থেকে একটু ব্রেক নিয়ে প্রকৃতির মাঝে যাও। গাছপালার নিচে বসো, নদীর ধারে হাঁটো, বা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকো। দেখবে, মন নিজেই শান্ত হয়ে যাবে!
৭. স্বার্থহীনভাবে কিছু করো – বিনিময়ে কিছু চাও না!
কারো জন্য কিছু করো, কিন্তু বিনিময়ে কিছু আশা কোরো না। এটা যে কত বড় প্রশান্তির কারণ হতে পারে, সেটা তুমি একবার ট্রাই করলেই বুঝবে!