তুমি কি কখনো ভেবেছো কেন মন সবসময় অশান্ত থাকে? কেন যেন ভিতরে ভিতরে একটা অস্থিরতা কাজ করে? সনাতন ধর্মের শাস্ত্র বলছে, আমাদের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসই এই অশান্তির কারণ! যদি তুমি সত্যিকারের মানসিক প্রশান্তি চাও, তাহলে আজ থেকেই এই ৭টি ভুল করা বন্ধ করো!
১. মিথ্যা বলা – এটা তোমার শক্তি কেড়ে নেয়!
“আরে, ছোটোখাটো মিথ্যা বললে কীইবা হবে?” যদি তুমি এভাবে ভাবো, তাহলে তোমার জন্য দুঃসংবাদ আছে! শাস্ত্র অনুযায়ী, সত্যই শক্তি। মিথ্যা বললে তুমি নিজের আত্মাকে দূষিত করছো, যা তোমার আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে তুমি ধীরে ধীরে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই চেষ্টা করো সত্যের পথেই থাকার!
২. অহংকার – তুমি যতই বড় হও, বিনয়ী হও!
গীতা স্পষ্ট বলছে, অহংকারই পতনের মূল কারণ। তুমি যদি সবসময় নিজেকে সবার থেকে বড় মনে করো, তাহলে অন্যদের প্রতি সহানুভূতি হারিয়ে ফেলবে, যা তোমাকে একসময় একা করে দেবে। সত্যিকারের মানসিক শান্তি পেতে চাইলে, অহংকার ঝেড়ে ফেলে বিনয়ী হও!
৩. নিন্দা করা – অন্যের বদনাম করলে, নিজের শান্তিও হারাবে!
হ্যাঁ, এটা আমরা প্রায় সবাই করি! কিন্তু জানো কি? কারো সমালোচনা করা মানে তোমার নিজের ইতিবাচক শক্তি নষ্ট করা। অন্যের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার বদলে নিজের উন্নতির দিকে মন দাও। তাহলে দেখবে, তোমার মনও অনেক শান্ত হয়ে গেছে!
৪. লোভ – কম না হলে, শান্তিও কমবে!
তুমি যদি সবসময় আরও চাই, আরও চাই বলে দৌড়াও, তাহলে কি কখনো সত্যিকার প্রশান্তি পাবে? না! সনাতন মতে, আসল সুখ কমে সন্তুষ্ট থাকার মধ্যেই লুকিয়ে আছে। তাই জীবনকে সহজ করে ফেলো, অপ্রয়োজনীয় লোভ থেকে মুক্ত হও!
৫. ক্রোধ – রাগ তোমার পুড়িয়ে ফেলে!
ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, “ক্রোধ থেকেই বিভ্রান্তি জন্ম নেয়, বিভ্রান্তি থেকে স্মৃতিভ্রংশ হয়, স্মৃতিভ্রংশ হলে বুদ্ধি নষ্ট হয়, আর বুদ্ধি নষ্ট হলে মানুষ ধ্বংসের পথে চলে যায়।” তুমি কি সত্যিই নিজের জীবন নষ্ট করতে চাও? যদি না চাও, তাহলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করো!
৬. অলসতা – যা কিছু ভালো, সেটা পরিশ্রম ছাড়া পাওয়া যায় না!
সনাতন ধর্মে ‘কর্ম’ বা কাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে। অলসতা মানে হলো, তুমি তোমার জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছো। যদি তুমি সত্যিকারের সুখী হতে চাও, তাহলে পরিশ্রম করো, নিজের লক্ষ্য ঠিক করো এবং তার জন্য কাজ করো!
৭. অবিশ্বাস – যখন তুমি নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলো, তখন সব শেষ!
সবচেয়ে ভয়ানক জিনিস হলো নিজের প্রতি সন্দেহ করা। সনাতন মতে, আত্মা চিরন্তন, এবং তুমিও অসীম শক্তির অধিকারী! নিজের শক্তি বোঝো, নিজেকে বিশ্বাস করো, আর দেখবে তোমার জীবন বদলে যাবে!